৬ ঘণ্টা পর থেমেছে রাবি শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ৩ শতাধিক

  © সংগৃহীত

বাস শ্রমিকদের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের প্রায় ৬ ঘন্টা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। সংঘর্ষে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর দুই দিনের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে রোব ও সোমবারের সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাসের ভাড়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে মহাসড়কের দুপাশ থেকে স্থানীয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। এ ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফের দোকান ভাঙচুর করলে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাভার গুলি বর্ষণ করলে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। তবে ৩০/৪০ জন শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রামেকে ভর্তি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ নামের এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাস থেকে কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।


সর্বশেষ সংবাদ