ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা 

ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে নবীন বরণ
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগে নবীন বরণ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১৪তম, ১৫ তম ও ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং ৮ম, ৯ম ও ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ‘শহীদ শেখ কামাল ও শহীদ সুলতানা কামাল স্মৃতি বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।

আজ বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ ও ১৫ তম ব্যাচের নবীন বরন আগে না হওয়ায় ১৬ তম ব্যাচের নতুন শিক্ষার্থীদের সাথে তাদেরও বরণ করে নিয়েছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। একই সাথে অষ্টম, নবম ও দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয় হয়।

আরও পড়ুন: শিগগিরই নন-ক্যাডারের প্রার্থীরা বড় সুখবর পাবেন— পিএসসি চেয়ারম্যান

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করা শিখতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যত প্রশ্ন করতে পারে, তার জ্ঞান তত বাড়ে। প্রশ্ন করতে না পারলে জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শীল ভদ্রের মত লোকদের দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অর্ধশিক্ষিত ও সাধারণ শিক্ষিত লোকদের দিয়ে পরিচালনা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দুরবস্থা আজ।

ভারত বর্ষের জ্ঞানের চর্চার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতবর্ষের জ্ঞান চর্চার সময় কালটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না হলেও এখানে জ্ঞানের চর্চার ধারাটা বেশ পুরাতন। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় ধারনাটা ১০০০ বছরেরও বেশি পুরাতন নয়। কিন্তু ভারত বর্ষের নালন্দা, বিক্রমশীলার মত যে বৌদ্ধ বিহার বা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তা অনেক পুরাতন। এর পর প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে ব্রিটিশ আমলে পূর্ব বাংলার মানুষ যাতে সচেতন হয়ে ওঠে, নিজের ভূখণ্ড নিজে শাসন করতে পারে, মানুষের জীবন যাপন যেন আরও সুন্দর হয় এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। 

তিনি আরও বলেন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বললেও এটা কথার কথা। আমাদের দেশে এখন সেমিনার নেই, প্রশ্ন নেই শিক্ষার্থীদের মনে, তারা ফোন নিয়ে সব সময় ব্যস্ত। তিনি আরও বলেন এখন মানুষ  জ্ঞানী না হয়ে বিদ্বান না হয়ে প্রজ্ঞাবান না হয়ে বিখ্যাত হচ্ছে।  আবার অনেকে ছবি তুলে বা বিশেষ ঘটনা ঘটিয়ে বিখ্যাত হয়ে যায়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন সকলের ভেতর একটা তারুণ্য থাকতে হবে, চঞ্চলতা থাকতে হবে। তাহলে জীবন সুন্দর হবে।

এ ছাড়াও  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন  সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের  ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।


সর্বশেষ সংবাদ