সক্ষমতা দিয়েই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে: ইউজিসি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন  © ফাইল ছবি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে হলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষক, গবেষক, অর্থনীতিবিদ ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সেই লক্ষ্য পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর আজ বুধবার এ কথা বলেন।

ইউজিসি আয়োজিত দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন জোরদারকরণে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃজন ও এর চর্চা এবং উদ্ভাবনী গবেষণার উৎসস্থল। জ্ঞানই উন্নয়নের চাবিকাঠি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে নানাভাবে বিশ্বের সকলক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এবং আগামীতেও এই প্রভাব অব্যাহত থাকবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

সভা প্রধানের বক্তব্যে রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির বলেন, যেভাবে প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব এগিয়ে চলেছে তার সাথে তাল মিলিয়ে না চললে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখন থেকেই এই বিপ্লবে অংশীদার হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও সফলভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথরেখা নির্ধারণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে অর্থ মঞ্জুরি বাড়ানোসহ যুগোপযোগী বিষয়ে নতুন নতুন বিভাগ খোলা ও উদ্ভাবনী গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলতে ইউজিসি ও সরকারের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার তিনি আহ্বান জানান।    

স্বাগত বক্তব্যে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা না গেলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জসমূহ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। এই কর্মশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হবে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

ইউজিসি ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব। 

কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশিষ্ট শিক্ষক ও পেশাজীবীগণ অংশ গ্রহণ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence