যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যর্থতা স্বীকার করা উচিত: ড. বিশ্বজিৎ চন্দ 

ড. বিশ্বজিৎ চন্দ 
ড. বিশ্বজিৎ চন্দ   © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে না পারার ব্যর্থতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বীকার করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। একই সাথে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সবার সমন্বিত সচেতনতা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্লাস্ট আয়োজিত 'যৌন হয়রানি নিরসনে উচ্চ আদালতের নিদের্শনা: বর্তমান অবস্থা ও বাস্তবায়নে করণীয়'—শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। তবে এসব বিষয়ে ইউজিসি ব্যবস্থা নিচ্ছে যন সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যৌন হয়রানির ঘটনা না ঘটে। তবে এ উদ্যোগ একমাত্র সমাধান নয় বলেও জানান তিনি। 

নীতিগত জটিলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করার সুযোগ পান না জানিয়ে তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সব কমিটি করা হয়, তার প্রধান থাকেন কোনো পুরুষ, ফলে অনেকেই অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না। একই সাথে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি। 

সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো দরকার জানিয়ে ড. বিশ্বজিৎ বলেন, মি টু হ্যাশট্যাগ কিংবা অনলাইনে অভিযোগ দায়েরের ব্যবস্থা করার মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে নতুন সমাধান দিতে পারে। পাশাপাশি অভিযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পরিচয় গোপন রাখার বিষয়ে আবারও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ