বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে যা বলছে ইউজিসি

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

হঠ্যাৎ করেই দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। তবে কমিটি নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, ছাত্র রাজনীতি করা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার নেই। স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না দিলে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। এমনকি হার্ড লাইন কর্মসূচির কথাও জানিয়েছেন তারা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর সহাবস্থান নিশ্চিত করতেই তারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি চালু করা হলে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই কোনো অবস্থাতেই তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালুর অনুমতি দেবেন না।

আরও পড়ুন: চাকরির বয়স বৃদ্ধির আন্দোলন, আ.লীগের ইশতেহারে কী প্রতিশ্রুতি ছিল?

ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাথে।

ইউজিসি বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন সেখানে কোথাও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাই এ বিষয়ে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে যদি বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন সবার সাথে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ব্যানারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ