রমজানে জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

জুমার নামাজ
জুমার নামাজ  © ফাইল ফটো

পবিত্র কোরআনে রমজান এবং জুমার দিনকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। একারণে রমযানে জুমার দিনগুলো বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে জুমার গুরুত্ব তুলে ধরে আল্লাহতায়ালা বলেছেন ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো।’

এক হাদিসে নবী (সা.) বলছেন, যে দিনগুলোয় সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হযরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। তাকে ওই দিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই জান্নাত থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

অপর এক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ক্রীতদাস, মহিলা, নাবালেগ শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি, এ চার প্রকার মানুষ ছাড়া সব মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা অপরিহার্য কর্তব্য’ (আবু দাউদ)।

জুমার ফযিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন’ (ইবনে মাজাহ)।  

জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়: আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন- ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন- ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (মুসলিম, ইবনে খুজাইমা, বয়হাকি)


সর্বশেষ সংবাদ