জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা

জাতীয়করণ আন্দোলন
জাতীয়করণ আন্দোলন  © ফাইল ছবি

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন শুরু হবে। কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে শিক্ষকরা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জোটের সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন দরে বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারও শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা বৃদ্ধিতে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য শিক্ষকরা রাজপথে নেমেই দাবি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। বর্তমান সময়ে এক হাজার টাকা দিয়ে কোথায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়? একজন চিকিৎসকের ভিজিট যেখানে এক হাজার টাকা, সেখানে চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা কীভাবে হয় সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না হলে বেসরকারি শিক্ষকদের এই বৈষম্য কখনো দূর হবে না।’

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য চাকরিতে মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়া চিকিৎসা, বাসা ভাড়াসহ নানা ক্ষেত্রে অর্থ পেয়ে থাকেন চাকরিজীবীরা। এসব অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন একাধিকবার কর্মসূচি পালন করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ২২ দিন অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম টানা ৪৪ দিন অনশন পালন করেছে। অনশন চলাকালীন শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় এবার আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন শিক্ষকরা।

প্রসঙ্গত, ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩১ হাজার ৮২৬টি। এর মাধ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৭ হাজার ৬৩৪টি, কলেজ ২ হাজার ৮৬৮, টেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ২২২ এবং মাদ্রাসা রয়েছে ৯ হাজার ১০২। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ