পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চুয়েট শিক্ষকদের
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:৩২ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:৩২ PM
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) -এর শিক্ষকেরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবারও কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত রবিবার তিন দিন (২৫, ২৬ ও ২৭ জুন) অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় চুয়েট শিক্ষক সমিতি। চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি জি এম সাদিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরাফাত রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি আজ রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানান। দাবি আদায়ে কাজ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। শিক্ষকরা সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে কাজ করেন। বাধ্য হয়ে আমাদের আজকে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি। আমরা ধারণা করেছিলাম সরকার দ্রুত আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত জানাবে। কিন্তু শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও আশানুরূপ কোনো ফল আসেনি। অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে। না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবো।
চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষকরা দেশের কল্যাণে কাজ করতে চান। শিক্ষকরা যথাযথ সম্মান পেলে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে অনুপ্রেরণা পাবে। ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে একটি শিক্ষিত গোষ্ঠী দরকার, এই শিক্ষিত গোষ্ঠী শিক্ষকরাই তৈরি করবেন। তাই এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষকদের সম্মান করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ তিনি যেন শিক্ষকদের এবং অন্যান্য পর্যায়ের সরকারি কর্মজীবীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিম এর আওতামুক্ত করে পূর্বের পেনশন স্কেল চালু রাখেন এবং শিক্ষকদের জন্য অন্যান্য দেশে যেমন স্বতন্ত্র পে স্কেল চালু আছে তেমনি বাংলাদেশেও তা চালু করা হয়।