মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা

  © সংগৃহীত

দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন, শিক্ষায় বিনিয়োগে ইউনেস্কো আইএলও'র সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন এবং সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। আজ বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় আমরা এমণিভুক্ত শিক্ষকরা ২০ শতাংশ উৎস ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫শ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাই। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।  

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেওয়ার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে আমরা বিশ্বাস করি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা স্মার্ট করতে হলে দরকার স্মার্ট শিক্ষক। তাই স্মার্ট শিক্ষক পেতে শিক্ষার বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা আপনাদের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

বিটিএর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৩ মার্চ সকাল ১১টায় সারাদেশে জেলা সদরে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা প্রশাসক/বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ।  

১৪ মার্চ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীকরণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ঘণ্টার কর্মবিরত পালনসহ ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং জাতীয়করণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ। ২০ মার্চ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ।

এরপরেও যদি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণাসহ আসন্ন জাতীয় বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা না হয়, তবে সারাদেশের হতাশ ও বিক্ষুব্ধ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বাজেট ঘোষণার পরে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ