বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া  © সংগৃহীত

বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে বরগুনা পৌরশহরের ধর্মতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেোানে। এ ঘটনায় শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে শতাধিক তরুণ লাঠিসোটাসহ মিছিল নিয়ে পৌর শহরের ধর্মতলা মোড়ে আসে। এসময় দোকানপাট ভাঙচুরের চেষ্টা করলে মুহূর্তে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে ধর্মতলা গলিতে রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও কয়েকজনকে মারধর করা হয়।

এসময় বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির রেজার কর্মীরা ধাওয়া দিলে হামলকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে বাজার সড়ক ধরে পশ্চিম দিকে চলে যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান উত্তম কর্মকার।

ছাত্রলীগ কর্মী সুমন মিয়া জানান, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির রেজা নেতা-কর্মীদের নিয়ে শহরের ধর্মতলা গলির রঙধনু ক্লিনিকের সামনে অবস্থান করছিলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা সমর্থিত ছাত্রলীগের শতাধিক কর্মী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল নিয়ে ধর্মতলা মোড়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও দোকানপাট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।

তিনি আরও জানান, এসময় তারা রেজার অবস্থানের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে রেজার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও হামলাকালীদের ধাওয়া করে। ধাওয়ায় পিছু হটে শহরের বাজার সড়কে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। রেজাগ্রুপের কর্মীরাও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ছাত্রলীগ পরিচয়দানকারী কিছু জামায়াত শিবির ও পদবঞ্চিত বিবাহিত বিতর্কিত কিছু সন্ত্রাসী ধর্মতলা এলাকায় লাঠিসোটাসহ মিছিল নিয়ে এসে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভাঙুচরের চেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও পথচারীদের সুরক্ষায় ছাত্রলীগ কর্মীরা ওইসব সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। আমি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় আমার কেউ আহত হয়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সবুজ মোল্লা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে এবং আজ সন্ধ্যার পর তারা শহরের বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। যারা হামলাকারী তারা আমার কোনো গ্রুপের নয়। খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, শহরের আমাদের নিয়মিত টহল ছিল। আমরা পরিস্থিতি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ