ভাস্কর্যকে স্যালুট দিতে না পারলে পাকিস্তান চলে যাওয়ার পরামর্শ

শাখা ছাত্রলীগের প্রতিবাদী সমাবেশ
শাখা ছাত্রলীগের প্রতিবাদী সমাবেশ  © সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সামাবেশ বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্যকে স্যালুট দিয়ে চলতে হবে। যারা স্যালুট দিয়ে চলতে পারবে না, তারা পাকিস্তানে চলে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে এবং মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুন ও আনোয়ার পলাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আজকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল, বিভিন্ন সময়ে যারা মাথাচাড়া দিতে চেয়েছিল, তারা আবারও একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা আমরা দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে কখনো মেনে নিতে পারি না।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মৌলবাদী শাসক গোষ্ঠী আবার লেজ নেড়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় যদি থাকতে হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্য স্যালুট দিয়ে চলতে হবে, আর না হয় পাকিস্তানে চলে যেতে পারো।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, গণজাগরণ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, আবু সাঈম সুমন, হোসেন আহমদ রুবেল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে এক সমাবেশ থেকে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে তা অপসারণের দাবি তুলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তরা বলেন, মূর্তির বদলে আল্লাহ, কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্বলিত মিনার স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, আউলিয়ার দেশ, মাদরাসার দেশ। এদেশে কোনও মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।

ওইদিনই রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ