পারভেজ হত্যা
ছাত্রদলের দাবি প্রসঙ্গে যা বলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৩ AM

একজন মৃত ব্যক্তির লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্রদল ঘৃণ্য মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার সঙ্গে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী জড়িত নয় বলেও দাবি করে সংগঠনটি।
রোববার (২০ এপ্রিল) ফেসবুকে সংগঠনটির ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই অভিযোগ ও দাবি করা হয়।
পোস্টে তারা বলেছে, ‘প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীকে দায়ী করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অন্যরা।’
‘একজন মৃত ব্যক্তির লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্রদলের এমন ঘৃণ্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সোবহান নিয়াজ তুষার ও হৃদয় মিয়াজী পারভেজ হত্যার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।’
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সবচেয়ে বড় সংগঠন PUSAB তাদের ফেসবুকে যে তিনজন হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করেছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপরোক্ত দুজন নেতা অন্তর্ভুক্ত নন। দেশের সব প্রথম সারির মিডিয়াতে পারভেজ হত্যার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোথাও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মীর বিন্দুমাত্র অভিযোগের কথা বলা হয়নি।’
‘ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানেও সোবহান নিয়াজ তুষার ও হৃদয় মিয়াজীর কোনো উপস্থিতি ও হত্যার সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক ইতোপূর্বে “দায় দিয়ে দাও” সংস্কৃতির প্রচলন দেখেছি প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলনে। তিনি পারভেজ হত্যার ক্ষেত্রে একই সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি করছেন।’
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতার পদঙ্ক অনুসরণ করে ছাত্রদলকর্মীরা যাচাই-বাছাই না করে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম জড়াচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কেউ একটি প্রমাণও দিতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তির বরাতেও তুষার এবং হৃদয়ের কথা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমাদের ছাত্রলীগের ‘চালাই দেন’ গুজব বাহিনীর কথাই মনে করায় আরও একবার। একজন মৃত ব্যক্তির লাশকে ব্যবহার করে ছাত্রদল যে নোংরামি করছে, তা নতুন বাংলাদেশ ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কাম্য নয়।’
দুই অভিযুক্তে নিরাপত্তা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, ‘কোনো প্রমাণ ছাড়াই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতার নাম জড়িয়ে ফেসবুকে মব ট্রায়াল চালানোতে তাদের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটছে। একই সঙ্গে পারভেজ হত্যার মূল আসামিরা অনালোচিত থেকে যাচ্ছে। পারভেজ ছাত্রদল কর্মী হলেও ছাত্রদলেরই সাধারণ সম্পাদক হত্যাকারীদের কেন আড়াল করতে চাইছেন, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। হত্যাকারীদের আড়াল করতে চাওয়ার পিছনে তার অন্য কোনো দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটি গোয়েন্দা বাহিনীকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পরিশেষে সংগঠনটি বলে, ‘সর্বোপরি ছাত্রদলকে অনুরোধ জানাব স্বীয় দলের কর্মীদের লাশ ব্যবহার করে নোংরামি রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে।’