ছাত্রদলের হামলায় কুয়েট শিক্ষার্থীর ‘হাড় তিন টুকরা’

এক্স রে রিপোর্ট ও আহত শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ
এক্স রে রিপোর্ট ও আহত শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ  © টিডিসি সম্পাদিত

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় কুয়েটের বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট (বিইসিএম) বিভাগের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম সৌরভ গুরুতর আহত হয়েছেন। তার হাতের হাড় তিন টুকরো হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আহত শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের অতর্কিত হামলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। তারা লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি গুরুতর আহত হই। আমার হাতের হিউমেরাস (বাহুতে একটি দীর্ঘ হাড় যা কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত চলে) ভেঙে তিন টুকরা হয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, আমার ডান হাতে এ হামলার পর স্থানীয় গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এক্স রে রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

‘‘আমাকে খুলনা থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে, আগামীকাল বুধবার আমার সেখানে অপারেশন হবে।’’

এদিকে, সংঘর্ষের সময় একদল বহিরাগতদের হাতে লাঠিসোঁটা, রড এবং ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দুপুরের দিকে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমরা দেখেছি, এ সময় বহিরাগত অনেকের হাতে বাঁশের লাঠি, রামদা এবং লোহার রড ছিল।

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আসে। পরে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ