চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষিকাজে সফল নোবিপ্রবির শাকিল

শাকিল আহম্মেদ
শাকিল আহম্মেদ  © সংগৃহীত ছবি

শাকিল আহম্মেদ ২০২০ সালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে বিএসসি ইন এগ্রিকালচার বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরির পেছনে না ছুটে শুরু করেন কৃষি জমিতে সবজি ও ফল চাষ। প্রথমে ৪০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াস চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তার প্রকল্পকে ক্রমেই বৃদ্ধি করছেন। শাকিল আহম্মেদ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।

আরও পড়ুন: যে ৭ দেশে করোনা এখনো ঢুকতে পারেনি 

সবমিলিয়ে ৫০০ শতাংশ জমিতে বিনিয়োগ করেছেন ৬ লাখ টাকা। এ বছর ১০ লাখ টাকার সবজি ও ফল বিক্রির টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে তার উৎপাদিত সবজি ও ফল স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়েও রাজধানীতেও যাচ্ছে। প্রায় শতাধিক কৃষক শাকিলের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কৃষিকাজে সফলতা পেয়েছেন।

শাকিল আহম্মেদ বলেন, করোনার শুরুতে পরিবার থেকে অল্প পুঁজি নিয়ে প্রথমে ৪০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করি। আধুনিক চাষাবাদে প্রথম বছরেই প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়। এবার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এই প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকার সবজি ও ফল বিক্রির টার্গেট রয়েছে। ক্রমেই আমার প্রকল্পে চাষাবাদ বাড়ানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লাল না সবুজ আপেল, কোনটা বেশি উপকারী

তিনি আরও বলেন, ফার্মনেট এশিয়া নামে একটি অনলাইনভিত্তিক কোম্পানি চালু করেছি। যার কাজ কৃষক-ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত রাখা। এখানেও বেশ সাড়া পেয়েছি। একই জমিতে ৮-১০ প্রকারের ফসল যৌথভাবে চাষ করে কীভাবে পুরো জমিকে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়টিও কৃষকদের শিখিয়েছি। কৃষকদের আরও আধুনিকরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোয়েব মাহমুদ বলেন, তার কৃষি প্রকল্পে একাধিকবার গিয়েছি। তার এমন উদ্যোগে সবসময় আমরা পাশে থাকবো।


সর্বশেষ সংবাদ