মাইলফলকে সাকিবকে পেছনে ফেললেন তাইজুল
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের নামার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে এদিন বাংলাদেশের হয়ে বোলিং ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাচের ১৩তম এবং নিজের ৭ম ওভারেই প্রথম উইকেটটি তুলে নেন এই বাম-হাতি এই স্পিনার। ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাতকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ৩৬ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন জানাত।
একটি মাত্র উইকেটেই নিজেকে ওপরে নিয়ে যান তাইজুল। এর মাধ্যমে তৃতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এর আগে টাইগারদের হয়ে মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসান ১০০ উইকেট সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। রফিকের ক্যারিয়ারের মোট উইকেট সংখ্যা ১০০টি। অন্যদিকে এই পর্যন্ত ৫৬ ম্যাচে ২০৫টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।
শুধু তাই না, বরং এর মাধ্যমে বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দ্রুততম একশ উইকেট নেয়ার কীর্তিও গড়েছেন তাইজুল। নিজের ২৫তম টেস্টে তাইজুল পেলেন একশ উইকেট। আগের রেকর্ডধারী সাকিব আল হাসান উইকেটের তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ২৮ তম টেস্টে। ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শের দিক থেকে সাকিবকে পিছনে ফেললেন তাইজুল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৪ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। সেসময় প্রথম ইনিংসেই পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। পারফরম্যান্সের সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট তার সেরা পারফরম্যান্স। ঢাকায় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই স্পিনার।
৩০.৭৯ গড়ে, ৩.১৮ ইকোনমি রেটে ২৫ টেস্টে তাইজুলের শিকার ১০০ উইকেট। মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে তাইজুল পেলেন একশ উইকেটের স্বাদ। মোহাম্মদ রফিকের ক্যারিয়ার থেমে গিয়েছিল একশ উইকেটের ল্যান্ডমার্কে। সাকিবের টেস্ট উইকেট ২০৫টি। যেন বাঁহাতি স্পিনারদের দাপট চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
এদিকে, বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্ট ম্যাচে আফগানিস্তান দল ৯৬ ওভার থেকে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান তোলে। এখন পর্যন্ত তাইজুল ৩১ ওভার বল করে ৪টি মেডেন ও ৭৩ রান খরচায় ২ উইকেট লাভ করেন।