ফুটবল মাঠে যেসব কৌশলে অনন্য হামজা চৌধুরী

হামজা চৌধুরী
হামজা চৌধুরী  © ফাইল ফটো

সকাল থেকেই দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের চোখ সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ঘড়ির কাঁটাও যেন দুটি পাতার একটি কুঁড়ির নগরে থমকে গিয়েছিল। হামজা চৌধুরীর জন্য লাল-সবুজের ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনাও ঠিক সেখানেই। আর, এমন একটা দিনের জন্যই হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা।

আগামী ২৫ মার্চ মেঘালয়ের শিলংয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথমবার নামবেন দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরী। তবে এর আগে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে, দেশের ফুটবলের এই নতুন সেনসেশনকে কতটা জানেন সবাই!

১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর জন্ম নেওয়া হবিগঞ্জের এই ফুটবলার ইংল্যান্ডে বেড়ে উঠেছেন। বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। এমনকি অনূর্ধ্ব-২১ ইউরো দলেও খেলেছেন তিনি। পেশাদার ফুটবলে বার্টন অ্যালবিয়নের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজার। এই ক্লাবের হয়েই ২৮ ম্যাচ খেলে একটি অ্যাসিস্টে নাম লিখিয়েছেন।

২০১৭ সালে লেস্টারে পথচলা শুরু। প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, কারাবাও কাপ- ঘরোয়া সব আসরেই পদচারণা তার। তবে ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি। লেস্টারের জার্সিতে দুই গোলের পাশাপাশি চারটি অ্যাসিস্ট রয়েছে তার। বর্তমানে শেফিল্ডে খেলছেন।

প্রচলিত স্কোরিং পজিশনের খেলোয়াড় নন হামজা। তাকে মূলত অর্কাস্ট্রেটর ঘরানার ফুটবলার বলা যেতে পারে। মাঝমাঠে বল ডিস্ট্রিবিউশন, নিয়ন্ত্রণ কিংবা ডিফেন্সচেরা থ্রু পাসিং হামজার সবচেয়ে বড় শক্তি। সবমিলিয়ে প্লেয়িং স্টাইল ইতালিয়ান কিংবদন্তি আন্দ্রেয়া পিরলোর মতো বলা যেতে পারে।

হামজার বড় শক্তির জায়গা বল ডিস্ট্রিবিউশন। মাঠের খেলায় গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এই পজিশনকে মূলত বলা হয় ‘রেজিস্তা’। ইতালি থেকে এই পজিশনের উদ্ভব। মূল কাজ ম্যাচের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ। 

এই পজিশনে লাল-সবুজ শিবিরে বেগ পেতে হবে তাকে। আর লেস্টার সিটিতে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি। রক্ষণাত্মক ঘরানার লাল-সবুজ শিবিরে হামজাকে লং বলের ওপরেই নির্ভর করতে হবে। সবমিলিয়ে ‘রেজিস্তা’ হামজার সার্ভিসই প্রত্যাশা করবে বাংলাদেশ।


সর্বশেষ সংবাদ