কাতারকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো ইকুয়েডর

জয় উদযাপনে ইকুয়েডর ফুটবল দল
জয় উদযাপনে ইকুয়েডর ফুটবল দল  © রয়টার্স

ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসর নিজের মধ্যেই ইতিহাস। আর এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েলো ইকুয়েডর। খবর রয়টার্স

রোববার (২০ নভেম্বর) বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আয়োজক দেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২–০ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করল।

স্বাগতিক কাতারকে ২–০ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ইকুয়েডর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া প্রথম দলও কাতার। এদিন নিজের অভিষেক ম্যাচেই রেকর্ড গড়লেন ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড এনার ভ্যালেন্সিয়া। 

ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটেই হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু দর্শকদের উচ্ছাসের মধ্যেই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) জানালেন, গোলটি অফসাইড। ফেলিক্স তোরেসের ওভারহেড কিক থেকে ভ্যালেন্সিয়া হেড করার সময় অফসাইড ছিলেন। তাই সে গোল বাতিল হয়ে যায়।

তবে তাতে দমে যাননি ভ্যালেন্সিয়া। ৩–৪–৩ ফর্মেশন থেকে কখনো কখনো ৫–৪–১ হয়ে যাওয়া কাতারের মিডফিল্ড ইকুয়েডরের মিকাইল এস্ত্রাদা ও ভ্যালেন্সিয়াকে বল পাওয়া থেকে দূরে রাখতে পারেনি। আর এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ মিনিটে প্রথম গোল পায় ইকুয়েডর।

আরও পড়ুন: গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস।

মিডফিল্ডার সেবাস মেন্দেজ বক্সে পাস বাড়ান ভ্যালেন্সিয়াকে। তাকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন কাতারের গোলকিপার সাদ আল–শেব। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে ঠান্ডা মাথায় কাতার বিশ্বকাপে প্রথম গোলটি করেন ফেনেরবাচে ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্সিয়া। এই গোলের মধ্য দিয়েই লেখা হয় নতুন ইতিহাস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো প্রথম গোলটি দেখা গেল পেনাল্টি থেকে। আর এই গোলসহ বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের শেষ চারটি গোলও ভ্যালেন্সিয়ার।

প্রথম গোলের ঠিক ১৫ মিনিট পর দুর্দান্ত আরেকটি হেড থেকে গোল করেন ভ্যালেন্সিয়া। ময়জেস কাইসিদো কাতারের বক্সে বল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে পারেননি। বল পেয়ে যান ইকুয়েডর রাইটব্যাক অ্যাঞ্জেলো প্রিসাইদো। তাঁর ক্রস বক্সে লাফিয়ে হেডের চেষ্টা করেছিলেন এস্ত্রাদা। ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড না পারলেও ভ্যালেন্সিয়া পেয়ে যান। তার হেড আশ্রয় নেয় জালে।

২০১৪ বিশ্বকাপে তিনটি, আর গতকাল দুটি। অর্থাৎ বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের শেষ পাঁচটি গোলই ভ্যালেন্সিয়ার।


সর্বশেষ সংবাদ