নলছিটি বালিকা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৪২ AM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৫০ AM
করোনা মহামারির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে না জানিয়ে সেশন ফির নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ১ হাজার টাকা করে অদায় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে ঝালকাঠির নলছিটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আকন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভেবে এবং অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন অকার্যকর বা বন্ধ হয়ে না যায়, কিংবা বেতন না পেয়ে কর্মচারীদের জীবন যেন সংকটে না পড়ে, এই সব দিক বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়সমূহ কোন খাতে কত টাকা নিতে পারবে সেই নির্দেশনা দিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ (এমপিও ও ননএমপিও) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে, কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি নেবে না। আর নেয়া হলে তা ফেরৎ দেবে বা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।
অভিযোগ উঠেছে, এই বিজ্ঞপ্তি অগ্রাহ্য করে সেশন ফির নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করেছেন নলছিটি বালিকা মাধ্যসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আকন্দ।
এ বিষয়ে জলিলুর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিজ্ঞপ্তিতে সেশন ফি নিতে নিষেধ করা হয়নি, তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬ মাসের টিউশন ফি ও ১ হাজার টাকা সেশন ফি নিচ্ছি।’
তবে সেশন ফি আর পুনঃভর্তির মধ্যে পার্থক্য কী, জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নলছিটি পৌরসভার মেয়র ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
পরে তিনি মোবাইল ফোনে এর সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফির নামে যে টাকা নেয়া হয়েছে, তা সমন্বয় করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলেছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. আনোয়ার আজিম জানান, প্রধান শিক্ষক বলেছেন ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী টাকা দেয়নি। যারা দিয়েছে তাদের টাকা সমন্বয় করা হবে।
এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.সাখাওয়াত হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো টাকা নিতে পারবে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ। কেউ যদি নিয়ে থাকে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।