ঘরে ঢুকে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল
বাগেরহাট সদর হাসপাতাল  © ফাইল ছবি

বাগেরহাট সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে সাবেক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও মেয়ে। সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি (৬৫) ছোট পাইকপাড়া গ্রামের প্রয়াত কেশব লাল চ্যাটার্জির ছেলে। তিনি পার্শ্ববর্তী মধুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

এ সময় আহত তার স্ত্রী শেফালি চ্যাটার্জি (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জিকে (৩৫) বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মেয়ে ঝুমা রানীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৩০টির বেশি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনিও মায়ের পাশের বিছানাতেই চিকিৎসাধীন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলা হয়েছে বেশ কিছু নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িঘরে। এতে অন্তত ৫৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় কাজ করছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মারধরে আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩১ জন। তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের কর্মী, কয়েকজন বিএনপির কর্মী বলেও দাবি করেন।

তবে জেলার কোথাও সরকারি স্থাপনা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার খবর পাওয়া যায়নি।

জেলায় হামলা ও বিশৃঙ্খলা রোধে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় নেতা, ছাত্রদের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত একাধিক সভা করেছে জেলা পুলিশ।

হামলায় আহত বাগেরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেফালি চ্যাটার্জি বলেন, ‘ঘর-দরজা সব ভাঙছে, সব কিছু নিয়ে গেছে। কিচ্ছুই নেই। সন্ধ্যার দিকে একদল এসে বাড়িতে ঢিল মারছে। তখনও বুঝিনি, রাত্রিরি আইসে এই ভাঙে মাইরা ফ্যালবো।’

আর্তনাদ করতে করতে তিনি বলেন, ‘এট্টু জায়গা আছে, ওই জায়গা-জমিই কাল হইছে। এট্টু সম্পদের জন্নি তো, তোরা সব নিয়ে যাতি, মাইরে ফেললি কেন? সব ভাঙে ফেললি।’


সর্বশেষ সংবাদ