মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক

  © সংগৃহীত

সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক সছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে নয়ন আহমদ খান (১৪) নামের আহত ছাত্রকে।

অভিযুক্ত সাফি আহমদে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাণাপিং চন্দনভাগ গ্রামের আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। তার বাড়ি উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি টিকরপাড়া গ্রামে। উপজেলার ফাযিলপুর গ্রামে নির্যাতনে শিকার মাদ্রাসাছাত্র নয়ন আহমদ।

এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রের বাবা হোসাইন আহমদ খান বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় হেফজ বিভাগের ওই ছাত্র রুটিন মোতাবেক পড়া মুখস্ত বলতে না পারার অজুহাতে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করেন শিক্ষক শাফি আহমদ। এতে তার গাল, কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। পরে রাতেই কৌশলে শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের বিষয়টি জানায়নি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপর রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন শিশুটি মাদরাসায় নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শিশুটিকে একটি দোকানে আশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সে নির্যাতনের ঘটনাটি অভিভাবকদের খুলে বলে।

এ বিষয়ে জানতে আয়শা সিদ্দিকা (রা.) ইন্টারন্যাশনাল তাহফিজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ শাখার প্রধান বদরুল হকের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত শিক্ষক সাফি আহমদের মোবাইলে কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ