এমপিওভুক্তি স্থগিত হতে পারে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৩ AM , আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১০:২০ AM
চলমান এসএসসি পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি স্থগিত করা হতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তদন্তে নামা কমিটি সাত শিক্ষক-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তারা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সাত শিক্ষক এবং কর্মচারী।
জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে আগামী সপ্তাহে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে গত ২০ সেপ্টেম্বর। ওই কমিটির প্রধান করা হয় বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ওই কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গঠিত কমিটি।
প্রশ্নফাঁসে জড়িতে হিসেবে তদন্ত কমিটি সাতজনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন। কুড়িগ্রামের নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবাইর রহমান, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলার শিক্ষক সোহেল আল মামুন ও পিয়ন সুজন মিয়া বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে আটক করেছে ছয়জনকে, এখনো পলাতক অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ।
আরও পড়ুন: ফুল ফ্রি স্কলারশিপে স্নাতক করুন সৌদি আরবে
তদন্ত কমিটি বলছে, তারা সুপারিশ করেছেন জড়িত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি বাতিল করতে। নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এমপিওভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে। অবশ্য, শিক্ষা বোর্ড ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের। পাশাপাশি ওই স্কুলের শিক্ষকরা আর কোনো পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এখন থেকে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্তকাজ শেষ করেছে বোর্ডের গঠিত কমিটি। প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে আগামী সপ্তাহে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত তদন্তে তাদের নামই উঠে এসেছে, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাতজনের বাইরে আর কেউ জড়িত থাকলে তাও উঠে আসবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এমপিওভুক্তি বাতিল করা হতে পারে জড়িত শিক্ষক ও কর্মচারীদের। মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার একটি কেন্দ্র থেকে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট উদ্ধার করা হয় ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রামের নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিবের কাছ থেকে। এরই প্রেক্ষিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ফাঁসকৃত চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে নতুন তারিখ ঘোষণা করে।