৪ কারণে দেখা হবে না গুচ্ছে বাতিল হওয়া ওএমআর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৭ PM , আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৭ PM
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বাতিল হওয়া ওএমআর পুনরায় দেখতে আবেদন গ্রহণ করেছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। গত রবিবার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, ফল পুনর্নিরীক্ষা ও বাতিল হওয়ার ওএমআর পুনরায় যাচাইয়ের জন্য মোট এক হাজার ১৬৩ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। এর মধ্যে এ ইউনিটে ৬৮৬ জন, বি ইউনিটে ২৪৫ জন এবং সি ইউনিটে ২৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, বাতিল হওয়া ওএমআরগুলো চার কারণে দেখা হবে না। এর মধ্যে প্রথমটি হলো- কোনো শিক্ষার্থী ওএমআর শিটে সেট কোড না লিখলে সেই ওএমআর দেখা হবে না। দ্বিতীয়ত কেউ যদি সেট কোড একবার লিখে পরবর্তীতে সেটি কেটে অন্য আরেকটি সেট কোড পূরণ করে তাহলে সেটিও দেখা হবে না।
তৃতীয়ত ওএমআর শিটের রোল নম্বর, সেট কোড অথবা কোনো কিছু ঘষামাজা করলে সেই ওএমআরও দেখা হবে। শেষ কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন কোনো শিক্ষার্থী ওএমআর শিটে তার রোল নম্বর না লিখলে সেই ওএমআরও দেখা হবে না।
আরও পড়ুন: এক আবেদনেই ভর্তি গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বাতিল হওয়া ওএমআরগুলো দেখার কাজ শুরু করেছি। এখানে অনেকেই ওএমআর শিটে রোল নম্বর লেখেনি। এছাড়া ঘষামাজা, একাধিকবার সেট কোড লেখা ওএমআর রয়েছে। এগুলো দেখা হবে না।
এদিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে একটি আবেদনের মাধ্যমে গুচ্ছের সব বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে নিজ ইউনিটের জন্য কেবলমাত্র ৫০০ টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। যদিও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক পৃথক আবেদন করতে হয়েছিল।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে আবেদন করতে হয়েছিল। এতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে এবার কেবলমাত্র একটি আবেদনের মাধ্যমে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন সম্পন্ন হবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, এবার কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা একবারই আবেদন করবে। আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পছন্দক্রম ঠিক করে দিতে হবে। পরবর্তীতে প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী সাবজেক্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হতে পারে।
এর আগে, ৩০ জুলাই দেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের, ১৩ আগস্ট মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এবং ২০ আগস্ট বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গুচ্ছের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে ৮৫ হাজার ৫৮২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪৮ হাজার ১০৬ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ২৩ হাজার ২২৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পাস করেছেন।