ঢাবির ফলের হতাশা কাটিয়ে চবিতে প্রথম হলেন আয়মান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২, ০১:০৯ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২২, ০২:১৮ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে প্রথম হয়েছেন তানযীমুল উম্মাহ আলিম মাদ্রাসার ছাত্র আয়মান বিন কামাল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন। পরে সেখান থেকে উঠে দাঁড়িয়ে চবির জন্য নিজকে প্রস্তুত করেছেন।
প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আয়মান জানান, আমার বাবা-মায়ের দোয়া আর আমার চেষ্টায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এতে আমার মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও অনেক অবদান রয়েছে। এ সাফল্যে আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলে পাস করেছেন ১১ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থী। আর ফেল করেছেন ১৫ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থী।
আয়মান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক থেকে প্রস্তুতি শুরু করার দরকার। যাতে করে উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু পূর্বে বেসিকটা ঠিক থাকে। যেটা আমি আমার মাদ্রাসায় ঠিক করতে পেরেছি। আগে থেকে আমার ইংরেজি, বাংলা এবং সাধারণ জ্ঞানের পাঠ ভর্তি পরীক্ষায় অনেক কাজে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির ‘বি’ ইউনিটে ২৬ হাজারের ১৫ হাজারই ফেল
তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে আমার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। এতে আমি অনেকটা ভেঙে পড়ি। সে থেকে বেশ কিছুদিন খুব খারাপ সময় গিয়েছে। পরে ধীরে ধীরে এটা কাটিয়ে উঠে আবার প্রস্তুতি শুরু করি।
গত শনিবার সকাল ও বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি কেন্দ্রে দুই শিফটে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে এক হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে আবদেন করেছিলেন ৩৫ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২৬ হাজার ৬০৭ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে সকালের শিফটে অংশ নিয়েছেন ১৩ হাজার ২৮৯ জন ও বিকেলের শিফটে ১৩ হাজার ৩১৮ জন।
আগামীবারের ভর্তিচ্ছুদের উদ্দেশ্যে আয়মান বলেন, তাদের এখন বোর্ড পরীক্ষায় মনোযোগী হওয়া উচিৎ। তাদের এইচএসসির সিলেবাসের ইংরেজি ব্যাকরণ এবং বাংলা ব্যাকরণ এগুলোর বেসিক ঠিক রাখতে হবে। শুধুমাত্র বেসিক ঠিক রেখে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে পারলে একজন ভর্তিচ্ছুর ৭০-৮০ শতাংশ প্রস্তুতি আগেই হয়ে যায়।