কুবির দত্ত হল থেকে ল্যাপটপ চুরি

শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল
শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে দুটি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। পরে হলের শিক্ষার্থীদের তল্লাশিতে নিচ তলার সিঁড়ির নিচে ল্যাপটপ দুটি পাওয়া যায়। হল প্রশাসনের উদাসীনতায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে হলের  ৪০৪ নং কক্ষ থেকে ল্যাপটপ দুটি চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা প্রোগ্রাম থাকায় আমি দুপুর ১২টার দিকে বাইরে বের হই এর এক ঘণ্টা পর রুমে ফিরে দেখি যে আমার ল্যাপটপ নেই একটু পর দেখি যে আমার রুমমেট সাদমান সাকিবের ল্যাপটপও নেই তখন  গেইট লক করে দিয়ে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাসহ খোঁজা শুরু করি এক পর্যায়ে সিঁড়ীর নিচ থেকে এগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

আরও পড়ুন: ট্রেন ছাড়তে দেরি, পরীক্ষা দিতে পারেননি প্রীতি

এদিকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আমাদের হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নিচ তলা ছাড়া অন্য কোন ফ্লোরে সিসি ক্যামরার ব্যবস্থা নাই। এজন্যই ফোন ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া হলের নিচে সব সময় এলাকার লোকজন মোবাইলে গেইম খেলে। নিরাপত্তা যদি না বাড়ানো হয় ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু ঘটতে পারে। অফিস স্টাফদেরও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না। আমরা এসবের সমাধান চাই।

আনসার আন্ডার কমান্ডার বাচ্চু মিয়া বলেন, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়ীত্ব পালন করি। এর ভিতর এরকম কোন ঘটনা চোখে পড়ে নাই। শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ চুরির ঘটনা জানার পর হলের পকেট গেইটসহ মেইন গেইট অফ করে দিয়ে সব জায়গায় তল্লাশি চালাই। এক পর্যায়ে হলের সিঁড়ির নিচে ল্যাপটপ পাওয়া যায়।

হলের নিরাপত্তা কর্মী জাহিদ হাসান বলেন, আমরা তো কোন শিক্ষার্থীর ব্যাগ চেক করার অধিকার রাখি না।

এ ঘটনায় হলের প্রোভস্ট ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা প্রথমিকভাবে দুই জনকে সিসি ক্যামরা দেখে সন্দেহ করেছি।  এখনও নিশ্চিত নয় আমারা আরও পর্যবেক্ষণ করে দেখবো। যে রুম থেকে ল্যাপটপ চুরি হয়ছিলো ওরা দরজা লক না করার কারনে সহজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কোন রুমে যদি সমস্যা থাকে তাহলে হল প্রশাসনকে জানানো উচিত। আমরা এসব সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেবো। কিছুদিনের মধ্যে হলের প্রতিটি ফ্লোরে সিসি ক্যামরা লাগানো হবে। হলের নিচে এলাকার লোকজন যে বসে বসে মোবাইল চালায় বিষয়টা আমার জানা নেই।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে হলের ৩০২ নাম্বার কক্ষ থেকেও ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ