জবিতে ৫ পদে এক শিক্ষক, ব্যাহত হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৯:১২ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২, ১০:৩১ PM
২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যাডিং কমিটির আহবায়ক হিসেবে আছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। এই পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম সংকুচিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
একই ব্যাক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বহু পদের দায়িত্বে রয়েছেন। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, নীলদলের (একাংশ) সভাপতি, সেন্ট্রার ফর সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ এর সভাপতি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক হিসেবে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে কয়েকটি সংগঠনের নেতারা জানান, আগে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ছিল মুক্তমনা। অনুষ্ঠান করতে গেলে তেমন কোন বাধার সম্মুখীন হতে হতো না। অনুষ্ঠান করতে গেলে উপাচার্য স্যারের কাছে গেলে সহজেই অনুমতি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন কিছু করতে গেলে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ড. আবুল হোসেন স্যারের কাছে অনুমতি নেয়া লাগে। তিনি নিজের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন সংগঠনগুলোর ওপর। তাই আস্তে আস্তে কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অনুষ্ঠান হতো। এখন হয় না। এখন বিশেষ দিবসে সকল সংগঠনের একসাথে অনুষ্ঠান করতে হয়। ফলে সংগঠনগুলোর নিজস্বতা হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছুদের পদচারণায় মুখরিত রাবি, ব্যবস্থাপনায় খুশি
এদিকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণার সময় একই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পোস্টের দায়িত্ব না নেয়ার জন্য অঙ্গীকার করলেও খোদ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নানা পদের দায়িত্বে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। তারা বলছেন, নির্বাচনে ড. আবুল হোসেনের নীলদল অনেক অঙ্গীকার করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ৩০ টার মতো ইশতেহার দিলেও পাঁচটি বাস্তবায়ন হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। একই ব্যক্তি যদি নানা পদে থাকেন, তাহলে অন্যান্য শিক্ষকরা নেতৃত্ব দেয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।
এদিকে বিভিন্ন পদে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, আমি এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। এরআগে তিনি বলেন, আমি আট বছর ধরে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আছি সত্য। তবে কোন আর্থিক সুবিধা পাই না।