ইবির ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট’ অপচেষ্টায় লিপ্ত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২২, ০৮:৪৩ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছদ্মনামে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করছে। কেন্দ্রীয় কোনো স্বীকৃতি না দিলেও তারা কার্যক্রম চলমান রেখেছে। সুবিধালোভী মহলকে তাদের অশুভ তৎপরতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে এসব কথা বলেন কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে কেন্দ্রের অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন।
লিখিত লিখিত বক্তব্যে ড. আরফিন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের গতিধারা ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অর্জনসমূহকে নস্যাৎ ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ উদ্দেশ্যে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করার মানসে ক্যাম্পাস পরিমণ্ডলে একটি সুবিধালোভী চক্র অপচেষ্টায় লিপ্ত । চক্রটি ছদ্মনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত ও আদর্শচ্যুত করতেও তৎপর।’
আরও পড়ুন: চবিতে বিতর্কিত নিয়োগের সুপারিশ বাতিল
তিনি বলেন, ‘এহেন তৎপরতা ক্যাম্পাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে যা বঙ্গবন্ধু পরিষদের নীতি-আদর্শের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী । বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের অশুভ ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানান কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ।’
সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান, প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরকার মাসুমসহ পারিষদের অন্যান্য সদস্যরা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রো-ভিসি ও আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এ মালেক। অনুমোদনের পরপরই বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। এ কমিটিকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র থেকে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। এতে এ কমিটি কেন্দ্রীয় কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও জানানো হয়। তবুও তারা কার্যক্রম চলমান রাখে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক ইউনিট নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় কেন্দ্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক নেতাদেরও নাম আসে। ফলে বিষয়টি নিয়ে তারা আপত্তি প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেন। আগামী ১৪ মার্চ শিক্ষক ইউনিটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।