পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা, অপমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪৪ PM
চলছে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা। পরীক্ষার হলে নকল করছিল ছাত্রী হঠাৎ দেখে ফেললেন শিক্ষিকা। শিক্ষিকার সামনে কাঁচুমাচু শুরু করে ওই ছাত্রী। পরে শিক্ষিকার ‘শাস্তি’তে অপমানিত হয়ে পরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নদিয়ার শান্তিপুরে। এদিকে ছাত্রীকে অপমানিত করায় অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করে সে, এই অভিযোগ করে শিক্ষকাদের শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।
আরও পড়ুন: জবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নরসিংহ নগর এলাকার সঞ্জিত পালের মেয়ে পাপিয়া পাল এবছরের শরৎকুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়য়ে শুক্রবার টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন, সে নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে শিক্ষিকাদের কাছে। পরিবারের দাবি তাকে সমস্ত ছাত্রীদের মধ্যে কান ধরে ওঠবস করানোয় অপমানিত বোধ করে সে। সহপাঠীরা হাসাহাসি করে তাকে নিয়ে।
আরও পড়ুন: যেভাবে জানা যাবে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল
আর তাতেই অপমানিত হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। জানা যাচ্ছে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে কারও সঙ্গে কথা বলেনি ওই ছাত্রী। হাতমুখ ধুতে বাথরুমে গিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করা মিউরিয়েটিক অ্যাসিডের বোতল খুলে খেয়ে ফেলে সে। এদিকে বাথরুম থেকে বেরতে দেরি হওয়ার কারণে পরিবারের সদস্যরা দরজা ধাক্কা দেয়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাকে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রীকে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চিকিৎসকেরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। তবে কলকাতায় হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই রাস্তাতেই মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর।
এর পর মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে খবরে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রোববার থেকে শুরু শৈত্যপ্রবাহ
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, অপরাধবোধ থেকে হয়ত হীনমন্যতা জন্মেছিল ছাত্রীর মধ্যে। এই ঘটনা দুঃখজনক। তবে তাকে শারীরিক বা মানসিক কোনওভাবেই অপমানজনক কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। যা ক্লাসরুমে থাকা সিসি ক্যামেরা থেকেই বোঝা যাবে বলে দাবি তার।
এদিকে শিক্ষিকাদের শাস্তির দাবি করেছে মৃতা ছাত্রীর পরিবার। এই মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সূত্র: টিভি নাইন