মেসে না থেকেও ‘ভূতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল, বিপাকে কুবি শিক্ষার্থীরা

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। মেস এবং হলের শিক্ষার্থীরাও চলে গেছে যার যার বাসায়। তবে মেসে না থেকেও ‘ভূতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে সবাই মেস ছেড়ে চলে যায়। স্বাভাবিক কারণেই দীর্ঘদিন মেসে থাকা হয়নি শিক্ষার্থীদের। অথচ এই নাজুক পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে মেস ভাড়া, যা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। ফলে কুমিল্লার আশেপাশের শিক্ষার্থীরা মেস ছেড়ে দিতে মেসে গেলে লম্বা বিল হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে মেস মালিকগণ।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লা শহরে আমরা যে বাসায় থাকি, সেই বাসায় আমরা তিন মাস ছিলাম না। গ্রামে চলে আসার কারণে। ওমা! তিন মাসে দুই হাজার ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল! এটাও কি সম্ভব!’

তিনি আরোও বলেন, ‘প্রশাসনের দিকে চেয়ে তিন মাস সময় পার করেছি। কোন সমাধান এখনো আসেনি। কবে আসবে তারও ঠিক নেই। ফলে গত তিনমাসে সব মিলিয়ে আমাদেরকে ২৮ হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। তাই মেস ছেড়ে দিতে হয়েছে।’

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মেস ৮টা রুম নিয়ে। স্বাভাবিকভাবে এক হাজার টাকার মতো বিল আসতো। করোনার ছুটিতে সবাই বাড়িতে চলে যায়। অথচ জানতে পারলাম এ তিন মাসে বিল এসেছে প্রায় ১১ হাজার ৩০০ টাকা। কি অদ্ভুত! যদি থাকতাম তাও তো তিন হাজার টাকার বেশি আসতো না। স্বাভাবিক সময়ের সঙ্গে প্রায় তিনগুন বেশি বিল এসেছে।’

এদিকে অনেক শিক্ষার্থীর দাবি, মেস ছেড়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে এমন সব অদ্ভুত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হাজির হচ্ছেন মেস মালিকরা। আবার মেস ভাড়া পরিশোধ না করার কারণে অশোভন আচরণের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মেসে না থেকে এত বিদ্যুৎ বিল আসার কথা না। আমার শিক্ষার্থীরা এ বিল পরিশোধ করবে কেন? তারা সর্ব্বোচ মিটারের যে স্বাভাবিক খরচ তা বহন করতে পারে। যদি ভুলভাবে বিদ্যুৎ বিল আসে তা মেস মালিক কিংবা বিদ্যুৎ অফিস বুঝবে।’


সর্বশেষ সংবাদ