ববিতে আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের নামে জিডি, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৪৫ PM

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চলমান আন্দোলন দমনে এবং শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) কে. এম. সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে ১০ জন নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বরিশাল বন্দর থানায় এ জিডি করেন।
এর আগে, রোববার (২৭ এপ্রিল) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্যের চাপের মুখে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা চালানো হলেও, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অভাবে মামলা না নিয়ে জিডি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে যৌক্তিক দাবির পক্ষে আন্দোলন করছিলেন। অথচ প্রশাসন তাদের কণ্ঠরোধ করতে জিডি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল, যা এখনো বহাল রয়েছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র। তারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টি এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ২৭ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা দাবিসংবলিত ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দেন এবং পরে রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ প্রশাসনিক ভবনের কয়েকটি রুম তালাবদ্ধ করে দেন। এতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয় এবং ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জিডিতে দাবি করা হয়।
জিডিতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন: ১. রাকিন খান (ইংরেজি বিভাগ) ২. নাজমুল ঢালী (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ) ৩. মোকাব্বেল শেখ (লোকপ্রশাসন বিভাগ) ৪. তরিক হোসেন (আইন বিভাগ) ৫. মিজানুর রহমান (ইংরেজি বিভাগ) ৬. এনামুল হক (ইংরেজি বিভাগ) ৭. এমডি শিহাব (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) ৮. তরিকুল ইসলাম (ইংরেজি বিভাগ) ৯. স্বপ্নীল অপূর্ব রকি (কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগ) ১০. রফিক (রসায়ন বিভাগ)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে আপাতত ১০ জন শিক্ষার্থীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, তবে অফিসিয়ালি কিছু জানি না।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।