জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ  © সংগৃহীত

চার দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি প্রশাসনকে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ। রোববার (২৩ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে বিনীতভাবে জানানো যাচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা ও ন্যায্য অধিকারসমূহ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এসব সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় নিম্নোক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চার দফা দাবি
প্রথম দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

দ্বিতীয় দাবি, দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন : সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যথাসময়ে সম্পন্ন করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে বরাবরই গড়িমসি করে আসছে। একবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তী সমাবর্তন নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের সমন্বয় ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে চলতি বছরে দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে।

তৃতীয় দাবি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হলের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য : দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। পাশাপাশি পুরান ঢাকার দুটি হল স্থাপনের বিষয়েও কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে কাজের অগ্রগতি জানাতে হবে এবং প্রতি মাসে একবার আপডেট দিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের প্রতি আস্থা তৈরি হয়।

চতুর্থ দাবি, শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা : এ বছরের জানুয়ারিতে আমাদের অনশন কর্মসূচির তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল আবাসনব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়া। প্রশাসন এটি কার্যকর করার আশ্বাস দিলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে অস্থায়ী আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা ও ন্যায্য অধিকারগুলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ন্যায্য দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ