সড়ক অবরোধের পর টনক নড়লো প্রশাসনের, আলোচনায় যেসব সিদ্ধান্ত
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ PM , আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১ PM

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী 'ইমাম' বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম রাহিকে মহাসড়কে ফেলে যাওয়ার ঘটনায় আলোচনায় বসে ৬ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমাম পরিবহন ও বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ৬ টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে রয়েছে- ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় এবং হারানো ল্যাপটপ ও মোবাইলের ক্ষতিপূরণ দেবে ইমাম পরিবহন। আন্তঃজেলা পরিবহন সমিতির সাথে আলোচনা করে ঢাকা-ময়মনসিংহগামী বাসের ভাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং যাত্রীর সাথে বাসের ড্রাইভার, হেল্পার ও সুপারভাইজারের সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পরিবহন সমিতি। এছাড়াও ত্রিশাল থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বাস ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ এবং ত্রিশালে ইউনাইটেড বাসের কাউন্টার স্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল বাকিউল বারী, ত্রিশাল সার্কেলের এএসপি অরিত সরকার, ভালুকা-ত্রিশাল আর্মি ক্যাম্পের ইন্টি. অফিসার লে. জিহাদ, প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান, ত্রিশাল মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ত্রিশাল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) ময়মনসিংহগামী ইমাম বাসে করে আসার পথে ইফতারের খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে শিক্ষার্থী রাহিকে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও মালামাল নিয়ে ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনার সাথে ইমাম বাসের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা রাতেই প্রথমে ইমাম বাস জব্দ করতে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।