থানা স্থানান্তর না করতে ইবি ভিসিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মারকলিপি

ইবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
ইবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা  © টিডিসি

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ইবি থানা স্থানান্তর না করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রাব্বানী, মোবাশ্বির আমিন, তৌহিদুলসহ অন্যান্য সদস্য।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পার্শ্ববর্তী সাতটি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় দীর্ঘ দিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকার মানুষের মতামত উপেক্ষা করে ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থান্বেষী কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি অসত্য তথ্য দিয়ে এই থানাকে সরিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ঝাউদিয়ায় নেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর নিকার কমিটির সভায় ঝাউদিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা স্থানান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর সম্মতিতে থানা স্থানান্তর করে এখানে পুলিশ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।’

আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিদের অংশগ্রহণ রুখে দেওয়ার ঘোষণা শিবিরের

স্মারকলিপিতে আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মতামত না নিয়ে এমন অপচেষ্টা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত রাখতে হলে, ইবি থানাকে তার পূর্বাবস্থায় বহাল রাখার কোনো বিকল্প নেই। স্বভাবতই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে এবং বিনাইদহ সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এলকাটি দুর্গম এবং নিরাপত্তাজনিত সংকটে রয়েছে। অতএব ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থান্বেষী মহলের এক তরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা বহাল রাখার জন্য অনুরোধ করছি।’

আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। আমি তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চাই না যে থানা এখান থেকে দূরে চলে যাক। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি থানা যাতে হস্তান্তর না হয়। কুষ্টিয়া ঝিনাইদহের ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করব। আশা করি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়িত হবে।’ 


সর্বশেষ সংবাদ