পদত্যাগের আলটিমেটাম, ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ বললেন—এভাবে পদত্যাগ হয় না

পদত্যাগের আলটিমেটাম, ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ বললেন—এভাবে পদত্যাগ হয় না
পদত্যাগের আলটিমেটাম, ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ বললেন—এভাবে পদত্যাগ হয় না  © টিডিসি ফটো

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের পর ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করায় এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার মধ্যে অধ্যক্ষ, উপাধাক্ষ্য ও কলেজ প্রশাসনের দায়িত্বে শিক্ষকদের পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

রবিবার (১১ আগস্ট) ঢাকা কলেজ শহীদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খররম অডিটোরিয়ামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলেজ শাখার সকল সম্বন্বয়ক ও সহ-সম্বন্বয়কবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের পদত্যাগের আল্টিমেটাম ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক জিহাদ হোসাইন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়ক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষের ও কলেজ প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি তুলেছি। যদি তারা আগামীকাল (১২ আগস্ট) কোন তালবাহানা করে তাহলে স্বৈরাচারশাসক এবং স্বৈরাচারদের দোসোরদের যে অবস্থা হয়েছে এর চেয়েও চরম  অপমানিত এবং অপদস্থ হতে হবে। তাই স্ব-সম্মানে অধ্যক্ষ, উপাধাক্ষ্য ও হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ আগামী কাল সকাল দশটার ভিতরে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের ওএসডি করুক দূরে পোস্টিং দিক যেকোনো কিছুর জন্য অফিসিয়াল ওর্ডার লাগে। এভাবে তো পদত্যাগ হয় না। আমাদের পদায়ন হয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো না। এ সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি আছে। আমাদের এ সকল বিষয় হয় আদেশবলে। আমার ধারণা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। আমি রাতে মাউশিতে আবার কথা বলবো। আমার এখানে (ঢাকা কলেজে) থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষরা যেটা করছে সেটা ছাত্রদের শান্ত করার জন্য করছে—কিন্তু সেটা তো কোন বিধান না। আমাদেরকে একটি সরকারি ব্যবস্থায় নিয়ে শুনেছি নীতিগত সিদ্ধান্ত কাউকে রাখবে না। আমাদেরকে উইথড্র করবে এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। তারপরে আমাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়ে যেতে হবে।

আগামীকাল ক্যাম্পাসের আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে কীভাবে আসবো? ক্যাম্পাসের আসার পরিবেশটা নাই। আমরা মানসিকভাবে তৈরি কারণ যেখানে শিক্ষার্থীরা চাই না সেখানে একজন অধ্যক্ষ থাকবে কেন? থাকার তো কোন কারণ নাই। বেসরকারি কলেজ হলে গভর্নিং বডির কাছে পদত্যাগ করা যায়। হ্যাঁ আমি মাউশির পরিচালক (কলেজ) এবিএম রেজাউল করিমকে জানিয়েছি পদত্যাগের বিষয়ে। যেহেতু উনি এসিআরের বিষয়টা দেখেন।

এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে অধ্যক্ষ, কলেজ প্রশাসন ও হল প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ (১১ আগস্ট) সকাল ১০ টার মধ্যে কলেজ প্রশাসনকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ