এবার কোটা আন্দোলনে নামলো বিইউপি শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে মিরপুর ১২ বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল তিনটা থেকে শুরু হয় এই আন্দোলন। আন্দোলনের পুলিশ এসে রাস্তা অবরোধ না করার জন্য নির্দেশ দেয় এবং শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ চালিয়ে যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘মেধা যার চাকরি তার’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ সহ বিভিন্ন পোস্টার হাতে স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। উপস্থিত শিক্ষার্থীরদের দাবি সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা থাকতে পারে। যা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী কিংবা প্রতিবন্ধীদের জন্য। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দেশের মেধাবীরা কোটার জন্য সুযোগ না পেয়ে বিদেশে পারি জমায়। অন্যান্য দেশে তারা ভালো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। দেশের উন্নতি তখনই হবে, যখন মেধাবীরা তাদের যোগ্য স্থান পাবে। কোটা থাকতে পারে প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য। আর যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকেই তবে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, কোনো নাতি পুতিদের জন্য কোটা আমরা মানি না।’

বিইউপি এর এই প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। যদি এমন বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি হয় আমরা আবার যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমে এসেছি।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রচলিত মোট ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব ধরনের কোটা ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।  ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিল করা হয়। গত ৫ জুন হাইকোর্ট ২০১৮ এর পরিপত্রের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের অংশটি অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপরই শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নতুন করে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ