বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের চেয়ে হয়রানির শিকার বেশি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৫:০৪ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ০৫:৩১ PM
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জীবন বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে আড্ডাবাজি, খুনশুটি, হৈ-হুল্লোড়— এক কথায় প্রাণবন্ত মুহূর্তের চিত্রপট। কিন্তু এই সুখস্মৃতির মুহূর্তগুলোর পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস জীবনে শিকার হচ্ছেন হয়রানি বা র্যাগিংয়ের মতো ঘটনার। সহপাঠী, সিনিয়র কিংবা শিক্ষকের হাতে শারীরিক বা মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। গবেষণা বলছে, ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের চেয়ে হয়রানির শিকার বেশি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ-শীর্ষক আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। শুক্রবার (৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে সে সমীক্ষার বিবরণ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চালানো হয়েছে এ গবেষণা।
আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১.১ শতাংশ শিক্ষার্থী। যার মাঝে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৫.৯ শতাংশ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৩.৪ শতাংশ, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১.৮ শতাংশ এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি ৬৮.৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুলিং, র্যাগিং ও যৌন হয়রানির তিক্ততা যখন কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রাস করে তখন সে নিজেকে যাবতীয় সকল কিছু থেকে গুটিয়ে নেয় এবং ধীরে ধীরে বিষণ্নতার দিকে ধাবিত হয়।
ফাউন্ডেশনটির এবারের সমীক্ষায় মোট ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মাঝে বয়সের পরিসীমা অনুযায়ী ১৭-২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৫৮০ জন বা ৩৬.৯৪ শতাংশ, ২৩-২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৯১৯ জন বা ৫৮.৫৩ শতাংশ এবং ২৭-৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ জন বা ৪.৫৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা করেন ৫২.৪% বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
লিঙ্গ ভেদে ১৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৫৬ জন বা ৪৮.১৫ শতাংশ পুরুষ, ৮১৩ জন বা ৫১.৭৮ শতাংশ নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন বা ০.০৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ২৫১ জন বা ১৬.০০ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ২৫৪ জন বা ১৬.২ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ৩৬৯ জন বা ২৩.৪ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ৩৪০ জন বা ২১.৭ শতাংশ, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিল ৩৪১ জন বা ২১.৭ শতাংশ এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েট ছিলেন ১৫ জন বা ১.০০ শতাংশ।