একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা করেন ৫২.৪% বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৩:৫১ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ০৪:৪৪ PM
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৫২.৪ শতাংশের মাথায় একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৭০ জন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চালানো এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এ জরিপে অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন ৫.৯ শতাংশ এবং আত্মহত্যার উপকরণও জোগাড় করেছেন ৭.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৭ জুন) “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ”-শীর্ষক সমীক্ষা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ‘আঁচল ফাউন্ডেশন’।
প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতা এবং প্রতিকূল পরিবেশের সাথে মানিয়ে উঠতে না পারা থেকেই আত্মহত্যার চিন্তা মস্তিষ্কে বাসা বাঁধে। আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক দল শিক্ষার্থীদের কাছে আত্মহত্যা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করেছিল।
ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, জরিপে অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন ৫.৯ শতাংশ, আত্মহত্যা চিন্তায় এসেছে কিন্তু আত্মহত্যা চেষ্টা করেন নি ৩৯.২ শতাংশ, আত্মহত্যা চিন্তা এসেছে এবং উপকরণও জোগাড় করেছেন ৭.৩ শতাংশ, এবং কখনো মাথায় আত্মহত্যা চিন্তা আসেনি ৪৭.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাদের মাথায় আত্মহত্যা চিন্তা এসেছে এবং সে সকল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ভাবনার পেছনে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা।
ফাউন্ডেশনটির এবারের সমীক্ষায় মোট ১৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মাঝে বয়সের পরিসীমা অনুযায়ী ১৭-২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৫৮০ জন বা ৩৬.৯৪ শতাংশ, ২৩-২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৯১৯ জন বা ৫৮.৫৩ শতাংশ এবং ২৭-৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ জন বা ৪.৫৩ শতাংশ।
লিঙ্গ ভেদে ১৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৫৬ জন বা ৪৮.১৫ শতাংশ পুরুষ, ৮১৩ জন বা ৫১.৭৮ শতাংশ নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন বা ০.০৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ২৫১ জন বা ১৬.০০ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ২৫৪ জন বা ১৬.২ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৬৯ জন বা ২৩.৪ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৪০ জন বা ২১.৭ শতাংশ, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলো ৩৪১ জন বা ২১.৭ শতাংশ এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েট ছিলেন ১৫ জন বা ১.০০ শতাংশ।