জবিতে ইমামকে অব্যাহতি: দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভেও বাধা প্রশাসনের
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ০১:৪১ AM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে মৌখিকভাবে অব্যাহতির প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জোহরের নামাজের পর ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন ও মিছিলের চেষ্টা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষকদের বাঁধার মুখে পণ্ড হতে যায় মিছিলটি।
নামাজের পর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বের হয়ে শান্ত চত্ত্বর অতিক্রম করে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে দিয়ে ঘুরে আসার সময়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মিছিলের সম্মুখে গিয়ে বাঁধা প্রদান করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ইমামকে নিয়ে প্রশাসনের সাজানো নাটক, মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইমামকে লাঞ্ছিত করার জবাব চান। এসময় তারা ইমামকে স্বীয় পদে পুর্নবহাল রাখা এবং প্রক্টরের বহিষ্কারের দাবি তুলেন।
জানা যায়, বিক্ষোভ মিছিলের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান নেন মসজিদের আশপাশে। মানববন্ধন শুরু হওয়ার পরপরই শিক্ষার্থীদের বাঁধা প্রদানের চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় মিছিলের সামনে গিয়ে মানববন্ধন আটকায়। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও মিছিল করতে নিষেধ করেন।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সাথে একাধিক শিক্ষক এসে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন এবং বিক্ষোভ মিছিলটি বন্ধ রাখাতে বলেন।
প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একটা বিষয় নিয়ে তারা এমন কেন করতেছে বিষয়টি বোধগম্য নয়। সঠিক তথ্য না জেনে তারা এভাবে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তারা সত্য বের করে আনবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে রাতে শারীরিক অসুস্থতা থাকায় ভুলবশত এশার নামাজ আদায় শেষে ওই ছাত্রী জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের মেয়েদের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মসজিদের পাহারাদার তালা লাগাতে গেলে ওই মেয়েকে দেখতে পান। এসময় মসজিদের ওই পাহারাদারের স্ত্রী তাকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে ইমাম বা পাহারাদার কেউই ভেতরে প্রবেশ করেননি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমামকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।