খুবিতে ৯০ শতাংশেরও বেশি ফাইলের কাজ ডি-নথিতে সম্পাদন করা হচ্ছে : উপাচার্য

জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪
জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪  © জনসংযোগ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ডি-নথি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৯০ শতাংশেরও বেশি ফাইলের কাজ ডি-নথিতে সম্পাদন করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত 'জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪' কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ বাস্তবায়ন শীর্ষক এক প্রশিক্ষণে তিনি এই কথা বলেন। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশকে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত করে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। তাঁর আদর্শ ও নৈতিকতা মেনে এ দেশকে সোনার বাংলা তথা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

"এই সোনার বাংলা গড়তে প্রয়োজন সোনার মানুষের। আমাদের প্রত্যেককে পরিবারে, সমাজে এবং কর্মস্থলে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে ২০৪১ সালের অনেক আগেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দৃশ্যমান হবে।" 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধা ও কর্মদক্ষতার কারণে এপিএ মূল্যায়নে গত বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ স্থান অর্জন করে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এ বছর আরও ভালো কিছু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি পরিবর্তিত বিশ্ববিদ্যালয়।

"এপিএ’র যথাযথ বাস্তবায়নের কারণে এখানে কাজের ক্ষেত্রে, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে ও দক্ষতার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের সাথে সবাইকে খাপ খাওয়াতে হবে। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সময়মতো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।" 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরি। অনলাইনে যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও এপিএ টিম লিডার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক কমিটির ফোকাল পয়েন্ট উপ-রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন-৩) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেকশন অফিসার মমতাজ খন্দকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পর্কিত ধারণা ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ইউজিসির এসপিকিউএ’র অতিরিক্ত পরিচালক ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিক।

এছাড়াও সাথে ছিলেন ইউজিসির প্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব ও শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা কমিটির ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান এবং আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্র, খুলনার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ও সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব তাছলিমা আক্তার। এ প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ