সোনালু-জারুলে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

সোনালু-জারুলে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
সোনালু-জারুলে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস  © টিডিসি ফটো

দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রতি ঋতুতেই নতুন নতুন সাজে সেজে ওঠে এ বিদ্যাপীঠ। ঋতুর পালাবদলে আবারও ভিন্নরূপে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই এখন চোখে পড়ে জারুল, সোনালু ও কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য।

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে যখন অতিষ্ঠ জনজীবন, তখনই বাহারি ফুলের ঢালি নিয়ে হাজির হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুল ও সোনালু গাছ। যে দিকেই চোখ যায় সে দিকেই বাহারি ফুলের সমারোহ। জারুল, সোনালু ফুলের সৌন্দর্য প্রকৃতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ছাত্রী হলের রাস্তার পাশে, হতাশা চত্বর, প্রীতিলতা চত্বর, শিক্ষক ডরমিটরি, কাপল রোডে দেখা মিলে এই অপরূপ সুন্দর ফুলের। অস্বস্তিকর গরমে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দিচ্ছে মৃদু বাতাস জারুল, সেনালু ফুলের সৌন্দর্য ও গাছের ছায়া।

বেগুনি রঙের জারুল ও হলুদ রঙের সোনালু ফুলের সৌন্দর্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করছে না। মুগ্ধ করছে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা বহিরাগতদেরকেও। তারা বলছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এই ফুলের সৌন্দর্যে তারা মুগ্ধ। বিকাল হলেই তারা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে।

জারুল ও সোনালু ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদা রহমান রাকা বলেন, স্রষ্টার সৃষ্টি যে কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, তার অপরূপ এক নিদর্শন আমাদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতি যখন তার ঝলসানো রূপ গ্রীষ্মের  উত্তাপ ছড়াতে ব্যস্ত ঠিক তখনই জারুল, সোনালু, কৃষ্ণচূড়ার মোহনীয় ছোঁয়া বয়ে গিয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তিনি বলেন, এই জাদুর ছোঁয়া যে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই উপভোগ করছে তা কিন্তু নয়, দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরাও ছুটে আসছে সৌন্দর্যের সাগরে হারিয়ে যেতে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নওরিণ আক্তার স্বর্ণা বলেন, সোনালু ও জারুল ফুলের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে আমাদের ক্যাম্পাস। গ্রীষ্মের এই সময়ে সোনালুও জারুল প্রকৃতিতে তার অপরূপ ছড়াচ্ছে। ফুলের সৌন্দর্যের চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ও দর্শনার্থীদের। ইট-পাথর আর কোলাহলের নগরীতে যেন সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে ফোটে সোনালি আর জারুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার সালমা বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের বাতিঘর, ৫৩ একরের এই ভূখণ্ড যেন সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু যেন এই লীলাভূমিতে রচনা করেছে সৌন্দর্যের এক মহাকাব্য। যার সৌন্দর্য ক্যাম্পাসের পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। চারদিকে মন মাতানো রঙ-বেরঙের ফুল ও গাছ গাছালির শীতল ছায়া শুধু আমাকেই নয় বরং সকল শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে তুলেছে।


সর্বশেষ সংবাদ