নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি তিন পক্ষ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০১:২৫ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০১:২৮ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী অবস্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার (০৬ মার্চ) সকাল ১০টায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হননি বিভাগীয় প্রধান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন ‘অনিয়ম’ উল্লেখ করে প্রশাসন বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। পরে বিষয়টি প্রশাসন আমলে না নিলে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সকাল সাড়ে ১০টায় বসার কথা ছিল। যেখানে যাচাইবাছাই করে ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে ডাকা হয়। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো নিয়োগ বোর্ড বসেনি। এছাড়া ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকারও নিয়োগ বোর্ডে আসেননি।
নিয়োগ বোর্ডে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়জন অধ্যাপক ১ম ও ২য় গ্রেডে আবেদন করেছেন তাদের পদোন্নতি না দেওয়া এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তার সমাধান না করে প্রফেসর নিয়োগের বোর্ড আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন ডিন হিসেবে এসব আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বোর্ডে যাইনি। এছাড়া আমি জানতে পেরেছি, কিছু অছাত্র বোর্ড শুরু হওয়ার আগে উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থান নিয়েছে। যারা গত ১৯ তারিখ শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আমি সেখানে যাইনি।
শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল বলেন, ভিসি স্যারের সাথে গতকালের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনা চলছে। আমাদের যে দাবি অর্থাৎ সকল অবৈধ পদোন্নতি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা কোন নতুন নিয়োগ দিতে দেবো না। আজকের যে নিয়োগ বোর্ড এটাও আমরা স্থগিত করতে অনুরোধ করবো।
এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে দপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া মুঠোফোনে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।