কারামুক্ত হলেও ৪৫০ দিনের ট্রমা কাটেনি খাদিজার
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২২ PM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:১৭ PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি থেকে প্রায় ১৫ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
পরীক্ষা শেষে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে খাদিজা বলেন, ‘আমার এখন কোনো অনুভূতি কাজ করছে না। আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি কারাগারেই আছি। এখানে এসে কোনোমতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আগামী পরীক্ষাগুলোও দেব। আর কিছু বলতে চাই না।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে খাদিজা কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে। ১০ টার দিকে পরীক্ষা শুরু হলেও এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি হলে প্রবেশ করেন। খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তিনি পুনঃভর্তি নিয়ে ২০২০-২১ সেশনে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা বলেন, ‘খুব সকালে আমরা কারাগারে যাই। তারপর সকাল ৯টার দিকে খাদিজাকে মুক্তি দেয়। খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আজ থেকে শুরু, এজন্যই খুব সকালে আসি। সকাল সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে সে।’
আরও পড়ুন: সিটি ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হল সুপার
তিনি আরও বলেন, ‘খাদিজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হলেও সে ১৬ তম আবর্তনের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে। সেই এই ব্যাচের সঙ্গে পড়াশোনা কন্টিনিউ করবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল ১৬ নভেম্বর খারিজ করে জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পরে গতকাল রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে জামিন আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।
এর আগে, ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক মামলা করে পুলিশ।