নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ইবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সেলের সুপারভাইজারের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৫ জুলাই)  প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ফরিদ উদ্দিন নামের ওই কর্মকর্তা। 

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই সন্ধ্যা ৬:৪০ মিনিটে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটর সাইকেল এলোমেলো ভাবে চলাচল করছিল। আমি তাদেরকে মোটর সাইকেল থামাতে বলি এবং তাদের পরিচয় জানতে চাই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন। পরে তাদের পরিচয় জানতে পারি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি এলোপাতারী মোটর সাইকেল চালাচ্ছেন কেনো? তখন রেদোয়ান নামের শিক্ষার্থী বলেন, আমি যেভাবেই মোটর সাইকেল চালায় তাতে আপনার কি? আপনার সাইকেলের সাথে তো লাগেনি এবং আপনি বলার কে?

এসময় আমার সাথে দুইজন র‍্যাবের প্রতিনিধি ছিলেন। পরে উপ-উপাচার্যের পিএস সোহেল রানা সেখানে উপস্থিত হন। পরে আমাদের প্রত্যেকের সাথে তারা খারাপ আচরণ করেন। কথার এক পর্যায়ে ফাতেমাতুর জোহরা নামের আরেক শিক্ষার্থী আমাকে বলেন, আমি কি করতে পারি আপনি জানেন? এখন যদি ছাত্রদের ডাকি তাহলে আপনার কি অবস্থা হবে? প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সেল সম্পর্কে বাজেভাবে গালাগালি করতে থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, আপনি এবং আপনার প্রশাসন আমার কিছুই করতে পারবে না। এমতবস্থায় আমরা সবাই ওই স্থান ত্যাগ করি।

জানা যায়, ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রেদোয়ান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফাতেমাতুর জোহরা।

এদিকে অসদাচরণের বিষয়ে অভিযুক্ত রেদোয়ান বলেন, ওনারা প্রথমে আমাদেরকে হ্যারেজমেন্ট করেছেন। আমাদের বাইকে পুলিশের নাম লেখা ছিলো। তো ওনারা জিজ্ঞেস করলেন, কেন পুলিশের নাম লেখা এই বাইক চালাবো? এভাবে ওনারা আমাদের হ্যারেজমন্ট করেন। ওই লিখিত অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনায় যদি সিঙ্গেল একটি শব্দ প্রমাণিত হয় তাহলে প্রশাসন যা শাস্তি দিবে মেনে নেব। এসময় তিনি আরও বলেন, আমরাও লিখিত অভিযোগ দেব, প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি সেলের উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমাদের খুব কাছের। আমরা তাদের খুবই স্নেহ করি। তবে ওইদিনের ঘটনায় তারা উপ-উপাচার্যের পি এস সহ প্রশাসন তুলে গালিগালাজ করে। যা সত্যি কষ্টকর। আমরা চাই এর একটি বিচার হোক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। আমরা এটা আমলে নিয়েছি। কাল ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। আগামী পরশু বিষয়টি নিয়ে বসবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


সর্বশেষ সংবাদ