বেরোবিতে স্বাধীনতা দিবসের খাবারে পোকা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বোরোবি লোগো ও খাবারের মধ্যে পোকা
বোরোবি লোগো ও খাবারের মধ্যে পোকা  © টিডিসি ফটো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শহীদ মুখতার ইলাহী হলে স্বাধীনতা দিবসে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। খাবারের ভেতর পোকাও পেয়েছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বেরোবির তিনটি আবাসিক হলে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তিন হলের খাবারে ভিন্নতা দেখা যায়। এরমধ্যে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের খাবার সবচেয়ে নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ ওঠে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে খাবার পরিবেশন করা হয়, পরিবেশনকৃত খাবারের প্যাকেট খুললে রোস্ট থেকে পোড়া গন্ধ আর অর্ধসিদ্ধ পোলাও পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্যাকেটের মধ্যে পোকাও পাওয়া গেছে। পবিত্র রমজান মাসে এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন প্রভোস্টের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহীদ মুখতার ইলাহী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিন হলের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের খাবার আমাদের হলে। হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান সমতুল্য দাবি করেন, আমার প্রশ্ন প্রভোস্ট কি তার সন্তানকে কখনো এমন নিম্নমানের খাবার খেতে দিয়েছেন?

ক্ষোভ প্রকাশ করে এম ওয়ালিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মুখতার ইলাহী হলে ১ জন প্রভোস্ট সহ ৭ জন সহকারী প্রভোস্ট। জনাব আপনাদের রুচির প্রশংসা করতে হয়। 

সুমন মিয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, শহীদ মুখতার ইলাহি হলের খাবার খেয়ে বারবার টয়লেটে যাচ্ছি। জানিনা আমার কি হবে। ট্যাবলেট আনতে যেতেও পারতেছিনা।

বেরোবির অন্য দুই হলের প্রভোস্টের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনটি আবাসিক হলেই প্রশাসন থেকে সমপরিমাণ বাজেট দেয়ার কথা, ওই হলে কেনো এমন খাবার পরিবেশন হয়েছে সেটা সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট ভালো বলতে পারবেন।  

এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের একাধিক সহকারী প্রভোস্টের সাথে কথা হলে তারা প্রত্যেকে জানান, গত মিটিংয়ের শহরের ঠিকানা রেস্তোরাঁ থেকে খাবার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু পরে প্রভোস্ট সহকারী প্রভোস্টদের না জানিয়ে এমন নিম্নমানের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন যা দেখে আমরা ব্যথিত ও দুঃখ প্রকাশ করছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ড. রশীদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে নিম্নমানের খাবার পরিবেশের দ্বায় স্বীকার করে তিনি বলেন, বাজেটের মধ্যে রান্না করে আমরা খাবার দেয়ার চেষ্টা করেছি। এতে হয়তো একটু উনিশ বিশ হয়েছে। আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিলো না। প্যাকেট প্রতি বাজেট কত ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনকার বাজারে সব কিছুর দাম বেশি, মুরগীর কেজি ৪৫০ টাকা, দেড়শ টাকার নিচে কোন প্যাকেট হয় না।

সহকারী প্রভোস্টদের মতামতকে উপেক্ষা করে একাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রভোস্ট বলেন, মিটিংয়ে সবাই উপস্থিত থাকেন না, যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence