সোহরাওয়ার্দী কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাকড করে লেখা হলো ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ  © ফাইল ছবি

রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়েছে। হান্টার বাজওয়া নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ তাদের নিয়ন্ত্রয়ণে নিয়েছে ওয়েবসাইটটি। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে কলেজের ওয়েবসাইটটির নিয়ন্ত্রণ নেয় চক্রটি। হ্যাকড করে কলেজের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’।

ওয়েবসাইটে আরও লেখা হয়েছে, ‘টিম ব্যাকলেটস! সিকিউরিটি ইস জাস্ট এ ফ্যান্টাসি!’

হ্যাকিংয়ের পর কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোহসিন কবীর মুঠোফোনে বলেন, ওয়েবসাইট পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে কবি নজরুল সরকারি কলেজের পাশে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ। এই কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের সুব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়।

১৯৪৯ সালের ১১ নভেম্বর নালগলার ৫/১, জুম্মন ব্যাপারী লেনে (ভাওয়ালরাজ এস্টেট) কলেজটির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর উপাধি অনুসারে কলেজের নাম রাখা হয় কায়েদ-ই-আজম কলেজ।

পরবর্তীতে লক্ষ্মীবাজারে জমি ক্রয় করে কলেজটিকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। আর নালগলার ভবনটিকে ছাত্রাবাসে রূপান্তর করা হয়। ১৯৫০ সালে সৈয়দ জহির আহসান কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

শুরুতে কলেজটিতে কেবল আই.এ, আই.কম, এবং বি.কম কোর্সের অনুমোদন ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়। ১৯৫৬ সালে চালু হয় বি.এ (পাশ) কোর্স। এরপর ১৯৫৮ সালে কলেজটিতে বি.এসসি কোর্স চালু হয়। সেসময় ঢাকার অন্য কোনো কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে কলেজটির নাম রাখা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর কলেজটি সরকারি কলেজে পরিণত হলে এর নাম হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।


সর্বশেষ সংবাদ