প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কারের প্রস্তাব বেরোবি অধ্যাপকের

বেরোবিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা
বেরোবিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আশ্রয়ের মত মানবিক কাজে অংশ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কারের প্রস্তাব করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২২’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বেরোবি শিক্ষক আনোয়ারুল আজীম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়েছেন। তাই এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল দেওয়া উচিত। ৬টি বিষয়ে নোবেল দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে নোবেল দেয়া উচিৎ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রণন ও গুনগুনের আয়োজনে, ক্যাম্পাসে এ র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা একটি র‍্যালি বের করেন। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাসেল চত্বরে এসে শেষ হয়।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের

প্রফেসর ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এস.এম আব্রাহাম লিংকন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সামাজিক  অনুষদের ডিন মো. শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.আবু সালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান শামীম প্রমূখ।

মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে গবেষক  ও মানবাধিকার কর্মী বিষয়ক আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, মানবাধিকার বলতে একজনকে দাবিয়ে রেখে অন্য জন তুলে ধরা নয়, শুধু আঠারো বছর যাদের বয়স তারাই নয় মতামত সবাই দিতে পারবে হোক সে ছোট কিংবা বড়।

বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো হাসিবুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশে যদি আমেরিকার মানবাধিকার প্রয়োগ করা হয় তাহলে এই সমাজ টা ভেঙে  যাবে, অস্তিত্ব হীন হয়ে যাবে। কারণ আমরা তাদের পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি।

আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ এটা রাজনৈতিক স্লোগান নয়: তোফায়েল আহমেদ

সভাপতির বক্তব্যে তুহিন ওয়াদুদ বলেন,  মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ দায়িত্ব নেওয়ার পর দুটো কাজ করেছেন পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিপ্লবীক পরিবর্তন এনেছেন শিক্ষার্থীদের তাদের খাতা দেখা সুযোগ করে দিয়েছেন আর দ্বিতীয়ত সেশনজট নিরোশন করেছেন। চার বছরের সেশনজট মাত্র দেড় বছরেই তা কমিয়ে নজীর তৈরি করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ