ইবি কর্মকর্তা-ছাত্রীর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তে কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আলিমুজ্জামান টুটুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর চাঞ্চল্য ও আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ক্যাম্পাসে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস কক্ষ ভাংচুর হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যাল্যয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আলিমুজ্জামান (টুটুল) এর আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আবেদনে উল্লেখ করেছে।

এ ধরনের নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর কমিটি গঠন করেছেন।

৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রহমানকে সদস্য ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ আলীবদ্দিন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ছাত্রীর সাথে মোঃ আলীমুজ্জান টুটুলের অডিও ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এরপর গত ১৯ নভেম্বর তার বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোহাম্মদ তারেকের অফিসে ভাংচুর চালিয়ে প্রকৌশল ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারীরা টুটুলের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ভর্তি শেষে ১৩২৬ আসন ফাঁকা ইবির

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের নামে ৬ মিনিট ২১ সেকেডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে, যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, যারা দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে বিব্রত করছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করেছে।

এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে গ্রেপ্তার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন এই টুটুল।

শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত টুটুলের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে তারা প্রকৌশল অফিসের তালা খুলে দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

এদিকে, প্রকৌশল অফিস ভাংচুরের ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে অফিসের কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোঃ তারেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পৃথক দুটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence