ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও আবাসন সঙ্কট রয়েছে: উপাচার্য

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম জন্মদিন কাল (২২ নভেম্বর)। গৌরবের ৪৩ বছর পেরিয়ে শিক্ষা-গবেষণায়, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিদ্যায়তনটি। পেছনে ফেলে আসা বছরগুলোর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রতিবন্ধকতা, সংকট ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মঙ্গলবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

উপাচার্য বলেন, প্রান্তিক ভৌগলিক স্থানে হলেও যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছি। তারিখ, দিন বছর দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি একটি চলমান অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পেয়েছি। এ সময় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি এসে ডেপেলোপমেন্ট প্রজেক্টের কাজগুলো চালু করেছি।

‘‘এটি প্রায় থমকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। নানা কেলেঙ্কারিতে টোটাল প্রজেক্টটাই বাদ যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। সেটি এখন চালু আছে। চালাতে গিয়ে আবার সমস্যায় পড়েছি। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৪০০ মাদ্রাসা ছিল। এর জন্যে প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল। পরে মাদ্রাসাগুলো ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে গেলেও তারা থেকে যায়। তখন কর্মচারীরা কর্মশূণ্য হয়ে পড়ে।’’

আরও পড়ুন: দুই অনুষদে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইবি

সেশনজটের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমাবদ্ধ আনেক আছে থাকবে। আমরা করোনাকালীন সময়েও অনলাইন কার্যক্রম চালিয়ে গেছি। সকল সীমাবদ্ধতার সত্ত্বেও আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছি। আমাদের কয়েকটি বিভাগ এক থেকে দেড় বছর পিছিয়ে আছে। তবে আমরা দ্রুতই এ সেশনজট কাটিয়ে উঠবো।

উপাচার্য বলেন, আমি এসে ক্রীড়া বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ দুটি বিভাগ চালু করেছি। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতার প্রতি গুরত্ব আরোপ করছি। কারণ আগামিতে প্রিন্ট মিডিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমাদের এখনো দশটা বিভাগে ২-৩ বছর ধরে দুজন শিক্ষক ও আবার নেই শিক্ষক। এসব পরিস্থিতির ভেতর দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

আবাসন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, শহর কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন সংকট কাটাতে পারেনি। এ সংকট আমাদেরও প্রকট। তবে আমাদের নির্মাণাধীন দশতলা আবাসিক হলের কাজ সম্পন্ন হলে এ সংকট আমরা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারব। এসে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পাঠদান ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। চাকরি ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিলেবাস তৈরি করে পাঠদান করাতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।


সর্বশেষ সংবাদ