৬ মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত, স্থগিত ফুটবল টুর্নামেন্ট

কুবি
কুবি   © টিডিসি ফটো

তদন্ত প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় স্থগিত রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট। পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলছে এ তদন্ত। 

জানা গেছে, এ বছরের ১৪ মার্চ শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মনিরুল আলমের বিরুদ্ধে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে। পরে ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪০ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তবে ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় এবং বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আটকে রয়েছে ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

কুবি শিক্ষার্থী এইচ এম পিয়াস জানান, ‘শুনেছি বিগত এক টুর্নামেন্টে দু'পক্ষের ঝগড়ার জন্য খেলা বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুর আয়োজন করতে পারে, কিন্তু এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে এত অনীহা কেন?’

ইমদাদুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা নিয়মিত অনুশীলন করেছি। হঠাৎ করে শুনি টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? আর কবে হবে? আর যদি তারা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না পারলে তাহলে কেন বিভাগে চিঠি দিয়েছে?’

এ ব্যাপারে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘টুর্নামেন্ট কেন হচ্ছে না, আমি কিভাবে বলবো। ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টর সময় আমার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আনা হয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই অভিযোগের কোন সুরাহা হয়নি, তাই টুর্নামেন্ট হয়নি। যেহেতু সমাধান হয়নি তাই টুর্নামেন্ট হচ্ছে না।

ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ক্রীড়া কমিটি মনে করেছে এই বিষয়টি সমাধান হওয়া উচিত। যে ঘটনা ঘটেছে আমরা মনে করি কালক্ষেপণ না করে তা সমাধান করা উচিত।

আরও পড়ুন : জোরপূর্বক ঘুষ নেন ঢাবির সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান, ‘আমরা তদন্তের প্রতিবেদন তৈরি করেছি এবং এ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেব। এরপর প্রশাসন বাকি পদক্ষেপ নিবেন।’

এতদিন পরেও কেন তদন্তের সুরাহা হয়নি জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মঈনকে বরাবরের মতো একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ