পিএসসির ৫১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছে

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে পুলিশ। পাশাপাশি সম্পদের তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পিএসসি কেপিআই ভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেটিং হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত চিঠি আমাদের কাছে এসেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে ভেরিফিকেশন শুরু হয়েছে। এটি এখনো চলছে।’

পিএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, পিএসসির অধীন একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর সাংবিধানিক সংস্থাটিকে কেপিআইভুক্ত করা হয়েছে। পিএসসিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন, তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে মূলত ভেটিং করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না সেটি বেরিয়ে আসবে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পিএসসিতে ৬১৩টি পদ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১০০টি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। অবশিষ্ট ৫১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে পুলিশ। তথ্য যাচাই শেষে প্রতিবেদন জমা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা জানান, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না, সরকার বিরোধী কোনো কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না এবং আয়ের অতিরিক্ত সম্পদ অর্জন করেছেন কি না—এ বিষয়গুলো যাচাই করা হচ্ছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেলে কিংবা সরকার বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সেগুলো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা থাকবে। প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পিএসসি।’


সর্বশেষ সংবাদ