প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পিএসসির তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়: টিআইবি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ PM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ PM
ট্রানসপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোদ পিএসসির কর্মচারিরাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের অনেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন; ৪৬তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সাথে তারা জড়িত হয়ে অবৈধ অর্থ লেনদেন করেছেন বলে জানিয়েছেন। অতএব, পিএসসির এই তদন্ত প্রতিবেদন নির্ভরযোগ্য হবে না। যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক, পিএসসির প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
এর আগে গত ৭ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বেশ কয়েকবছর ধরে পিএসসির অন্তত ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এই চক্রে পিএসসির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি জড়িত বলেও দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অভিযান চালিয়ে পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনার তদন্তে গত ৯ জুলাই সরকারি কর্ম কমিশনের যুগ্মসচিব আব্দুল আলীম খানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি। কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা ও মোহাম্মদ আজিজুল হক। সম্প্রতি কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে ৪৬তম বিসিএস প্রলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো প্রমাণ মেলেনি। যদিও গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত ইস্যুতে সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক গণমাধ্যমটিকে আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, মহামান্য আদালত ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারিসহ এর আগে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের জড়িত কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া, যারা প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে চাকরি নিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবেন।’
তবে সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিএসসির চেয়াম্যানকে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোন করার পাশাপাশি ক্ষুদেবার্তা (মেসেজ) পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।